Bangla Awas Yojana: নবান্ন থেকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অর্থ ছাড়ের আগে ছ’দফা নির্দেশিকা জারি করেছে পঞ্চায়েত দপ্তর।
এই নির্দেশিকা অনুসারে, শুধুমাত্র সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা উপভোক্তারাই বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে পাকা বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু করবে রাজ্য সরকার।
তবে, তার আগে প্রতিটি জেলার প্রশাসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠোর নির্দেশিকা দিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর।
পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে কোনও অবস্থাতেই একজন উপভোক্তার টাকা অন্য কারও অ্যাকাউন্টে চলে না যায়। এজন্য সমস্ত স্তরে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।”
Bangla Awas Yojana
উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যাচাই বাধ্যতামূলক
নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, চূড়ান্ত সমীক্ষার মাধ্যমে যে তালিকা তৈরি হচ্ছে, তাতে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য যাচাই করে দেখতে হবে।
প্রতিটি উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ সঠিক এবং নির্ভুল কিনা তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।
পঞ্চায়েত দপ্তরের তরফে প্রতিটি জেলার জন্য যে তথ্য পাঠানো হচ্ছে, তাতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে:
1) প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের নাম।
2) অ্যাকাউন্ট সক্রিয় নাকি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছে।
3) সেই অ্যাকাউন্ট আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা হয়েছে কিনা।
এই তথ্যের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদন করবে।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পাশে ভূমি দপ্তরে কর্মী নিয়োগ | Wb Amin Recruitment
প্রথম কিস্তি প্রদানের প্রস্তুতি
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ ডিসেম্বর থেকে প্রকল্পের প্রথম কিস্তি বিতরণ শুরু হবে।
প্রতিটি উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সরাসরি এই টাকার স্থানান্তরের জন্য ব্যবহার করা হবে।
প্রথম কিস্তির অর্থ প্রাপ্তির পরে উপভোক্তাদের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করে পরবর্তী কিস্তি দেওয়া হবে।
এছাড়াও, পঞ্চায়েত দপ্তর প্রতিটি উপভোক্তার ক্ষেত্রে তথ্যের স্বচ্ছতা এবং নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে বিশেষ দল গঠন করেছে।
উদ্দেশ্য, প্রকল্পের কোনও অনিয়ম বা ত্রুটি যেন না ঘটে।
সতর্কতার বার্তা
রাজ্য সরকার বারবার বলে আসছে, “কোনও অবস্থাতেই একজন উপভোক্তার টাকা অন্য কোনও ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে পাঠানো যাবে না।
সবকিছুই সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে হবে।” পঞ্চায়েত মন্ত্রী নিজে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি নজরে রাখছেন।
এছাড়াও, উপভোক্তাদের প্রতি একটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে—যাঁদের সেভিংস অ্যাকাউন্ট এখনও আধার সংযুক্ত নয়, তাঁরা অবিলম্বে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। এতে কোনওরকম জটিলতা এড়ানো যাবে।
উপভোক্তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলী
১. উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অবশ্যই সেভিংস অ্যাকাউন্ট হতে হবে।
২. অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় অবস্থায় থাকতে হবে।
৩. অ্যাকাউন্টটি আধার কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হবে।
৪. শুধুমাত্র যাচাই করা উপভোক্তাদের নামই চূড়ান্ত তালিকায় থাকবে।
৫. ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ভুল তথ্য দিলে সেই আবেদন বাতিল হবে।
৬. জেলা প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত দপ্তরের যৌথ পর্যবেক্ষণে সমস্ত কাজ সম্পন্ন হবে।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। যাঁরা প্রকৃতভাবে এই প্রকল্পের যোগ্য, তাঁদের কাছে সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণ অর্থ পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই নির্দেশিকাগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এভাবে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বাংলার স্বচ্ছ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলিতে ২৫০০ স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগ | Special Educator Recruitment 2024
আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণী পাশে রাজ্যে চাকরির আবেদন শুরু | 8 Pass Job West Bengal