Wb Electric Bill News: বিদ্যুতের বিল ছাড় করলো মমতা আর দিতে হবে না বিল
এইবার থেকে কমছে বিদ্যুতের দাম। বাজেট পেশের পর বড় সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। পশ্চিমবঙ্গের সরকার এই রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্পায়নের ভবিষ্যৎ নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী একটি পরিকল্পনা নিয়েছেন,
তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক প্রকল্প হল দেউচা পাচামি কয়লাখনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের দ্বারা রাজ্যের বিদ্যুৎ ক্ষেত্রকে মজবুত করার ও রাজ্যকে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে স্বনির্ভর করার পরিকল্পনা করেছে।
দেউচা পাচামি হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ একটি কয়লাখনি, আমাদের রাজ্যের পাশাপাশি ভারতবর্ষের অর্থনীতিতেও এর অবদান বিশাল। এখানে প্রচুর পরিমাণ কয়লা মজুত রয়েছে, যার ফলে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমূল পরিবর্তন আসবে।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সুবিধা-
ক। এই প্রকল্পে রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমে যাবে।
খ। বিদ্যুতের দাম কম হতে পারে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে।
গ। শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
ঘ। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বাড়বে।
ঙ। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে বিদ্যুতের উৎপাদন ও দামের সম্ভাব্য পরিবর্তন হবে।
আরও পড়ুন: Metro Rail Recruitment 2025: মাধ্যমিক পাসেই কলকাতা মেট্রো রেলে চাকরির সুযোগ
বর্তমানে বিদ্যুতের মূল্য ক্রমশ বাড়ছে আর রাজ্য সরকার বিদ্যুৎ এর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। বেসরকারি সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে তো একেবারেই পারে না। তবে সরকার যদি নিজস্ব কয়লা খনি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে, তাহলে ভবিষ্যতে বিদ্যুতের দাম কমতে পারে।
সরকার মনে করছে যে, দেউচাপাচামি থেকে উৎপন্ন কয়লা পরবর্তী ১০০ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট। এর ফলে রাজ্যবাসীকে লোডশেডিং বা বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সমস্যার থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
কর্মসংস্থান- এর ফলে অর্থাৎ এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে শুধু যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রেই বিশাল বড় সুবিধা হবে তা নয়, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও এই পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী এখানে প্রায় ১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের জন্য অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছে। যারা জমি দিয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে।
চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
তবে স্বাভাবিকভাবেই এত বড় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে কতগুলি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে
১।এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
২। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
৩। প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
তবে সরকার আশা করছেন যে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজটি করতে পারলে কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে এবং তার ফলে রাজ্যের পাশাপাশি গোটা দেশের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে তার পাশাপাশি রাজ্যের বিদ্যুৎ সমস্যারও সমাধান হবে। এছাড়া কর্মসংস্থান তৈরি হবে ও রাজ্য তথা দেশের অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এই প্রকল্প।
কারেন্টের বিল দিতে হবে না
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের জন্য তিনি হাসির আলো প্রকল্প চালু করেছেন। যে কারণে এই সকল পরিবারগুলিকে ১০০% বিদ্যুতের বিল মকুব করা হবে যার ফলে লক্ষাধিক পরিবার উপকৃত হয়েছেন।
কারা এই বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রে ছাড় পেয়ে থাকেন?
০.৩ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন গৃহস্থ বিদ্যুতের প্রতি তিন মাসের খরচ ৭৫ মিনিটের মধ্যে হলে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর বিদ্যুৎ খরচ সম্পূর্ণ ফ্রি হবে। তাই ৭৫ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেবে রাজ্য সরকার অর্থাৎ সম্পূর্ণ ফ্রি করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Wb Mouza Map Download: ১০০ বছর পর পশ্চিমবঙ্গের ম্যাপ পরিবর্তন হচ্ছে
আরও পড়ুন: আপনার বাড়িতে ইনকাম ট্যাক্স নোটিশ আসবে এই ভুল করবেন না
সমস্ত খবরের আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে আপনারা যুক্ত হয়ে যান নিচের লিংকে ক্লিক করে